সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে চলছে সম্পূর্ণ কমিউনিকেশন ব্ল্যাকআউট – সেখান থেকে বিবিসির এক সংবাদদাতা জানাচ্ছেন সিরিয়ারই অন্য প্রান্তে কী ঘটছে শহেরর মানুষ সেটাই জানতে পারছে না।
প্রায় তিনদিন হয়ে গেল ইন্টারনেটের ভার্চ্যুয়াল দুনিয়া থেকে দামেস্ক সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে; ই-মেইল, ফেসবুক, টুইটার বা স্কাইপ – মানুষের সঙ্গে কোনও সম্পর্কই নেই দৈনন্দিন জীবনে এখন প্রায় অপরিহার্য এই সব অনুষঙ্গের।
ফলে সিরিয়ার বিভিন্ন জায়গায় কী ঘটছে সেটা জানার কোনও উপায়ই নেই, এমন কী রাজধানীর ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতেও এক প্রান্তে বসে জানা যাচ্ছে না অন্য প্রান্তে কী ঘটছে।
বাড়ির ব্যালকনি থেকে শুধু যেটা দেখা যাচ্ছে তা হল শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তীব্র ধোঁয়ার কুন্ডলী উঠছে, আর দামেস্কের শহরতলিগুলোতে অবিরাম গোলাবর্ষণ চলছে, যুদ্ধবিমান বোমা ফেলে যাচ্ছে একের পর এক।
মোবাইল ফোনেও সংযোগ পাওয়া খুব কঠিন হচ্ছে – শহরের একই মহল্লায় যারা থাকেন তারা মাঝে মাঝে পরস্পরের লাইন ধরতে পারলেও শহরের অন্য প্রান্তে বা দেশের অন্য প্রদেশগুলোয় মোবাইল সংযোগ পাওয়াই যাচ্ছে না।
পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য মানুষ এখন বাধ্য হয়েই পুরনো দিনের রাস্তায় ফিরে গেছেন – হয় তারা ল্যান্ডলাইনে নম্বর ঘোরাচ্ছেন, কিংবা বাড়ির দরজায় দরজায় গিয়ে বন্ধু ও পরিচতদের খোঁজখবর নিচ্ছেন।
দামেস্কের বাসিন্দাদের জন্য এত কঠিন সময় আগে আর আসেনি – আর রাজধানীর বুকে সরকারি বাহিনীও এত তীব্র গোলাবর্ষণ আগে করেনি।
গোলার আওয়াজে কানই পাতা যাচ্ছে না, আর দামেস্ক পরিণত হয়েছে এক আতঙ্কনগরীতে! [বিবিসি]