সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী হত্যার সংখ্যা সর্ম্পকে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দু‘ধরনের তথ্য দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ২০১১ সালে ৪৮জন বাংলাদেশী হত্যার তথ্য দিয়েছেন আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একই বছরের ২৪ জন বাংলাদেশী হত্যা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য এ এইচ হামিদুর রহমান আযাদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দিন খান আলমগীর বলেছেন, ১৯৯৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত সীমান্তে বিএসএফ ৭১৭ জন নাগরিককে হত্যা করেছে। বিএসএফর চালানো গুলিতে ৫৭০ জন আহত হয়। বিএসএফ বাংলাদেশিদের গুলিবর্ষন ও নির্যাতন করে হত্যা করেছে। মন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকারের আমলে ২০০৯ সালে ৬৬, ২০১০ সালে ৫৫, ২০১১ সালে ২৪ জন এবং ২০১২ সালের বর্তমান (সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ১৬ জন বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে। বছর ভিত্তিক বিএসএফ ২০০৬ সালে এক বছরে সর্বোচ্চ ৯৫ জনকে হত্যা করেন। গত বুধবার জাতীয় সংসদে এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, ২০১১ সালে ৪৮ জন এবং ২০১২ সালে এ পর্যন্ত ৩১ জন বাংলাদেশী নাগরিক বিএসএফ কর্তৃক নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী শাসসুল হক টুকু তার প্রশ্নের জবাব দেন। আসমা জেরিন চৌধুরীর (মহিলা আসন-৪) প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আইন শৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নীতি বিসর্জন দিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত হলে বিধি মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।”মন্ত্রী বলেন, “ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের কাজের পুনরাবৃত্তি না ঘটতে পারে সেজন্য নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।”মুহিবুল আলম মানিকের (সুনামগঞ্জ-৫) প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। অপরাধীদের গ্রেফতারের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। অপরাধীদের চিহ্ণিতকরণে আইন শৃংখলা বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।”এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদের অপর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের কন্ট্রোল রুম আধুনিকিকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মেট্রোপলিটান এলাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা ও জনশৃংখলা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ৫৯টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১৫৫টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। বেগম ফরিদুন্নাহার লাইলীর (মহিলা আসন-১৮) প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “পিলখানায় অনাকাঙ্খিত বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ৮৩টি পিস্তল, ১৭টি রাইফেল, ৫টি এসএমজি, ২১১টি গ্রেনেড, ১১টি ব্যক্তিগত পিস্তল, ৩টি টোয়েন্টিটু গান ও ২টি সিঙ্গেল ব্যারেল গান লুন্ঠিত বা হারানো গেছে।
তিনি আরো বলেন, “এরমধ্যে ২৩টি পিস্তল, ১২টি রাইফেল, ৪টি এসএমজি, ১৬১টি গ্রেনেড, ৬টি ব্যক্তিগত পিস্তল, ৩টি টোয়েন্টিটু গান ও ১টি সিঙ্গেল ব্যারেল গান ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় হারানো আরো ৭৭টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।