আজ || শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম :
  শতাব্দি পেরনো স্বর্ণজয়ী মানুষ ‘প্রফেসর মোয়াজ্জেম হোসেন’       অবশেষে গোপালপুরে বিরল রোগে আক্রান্ত পরিবার সুচিকিৎসা পাচ্ছেন       গোপালপুর-ভূঞাপুর যমুনা চরাঞ্চল এখন মাদক আর দুস্কৃতকারিদের অভয়ারণ্য       গোপালপুরে কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করতে কৃষক সমাবেশ       খোরশেদুজ্জামান মন্টুকে এলাকাবাসি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চান       গোপালপুর উপজেলা পরিষদ স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা       গোপালপুরে কুরতুবী মাদ্রাসার উদ্ধোধন       সালাম পিন্টুর মুক্তির আনন্দে গোপালপুরে মোটরসাইকেল র‍্যালি       গোপালপুরে জাসাস এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত       গোপালপুরে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সম্মেলন    
 


শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার দ্বিধাগ্রস্ত : সন্তু লারমা

পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার দ্বিধাগ্রস্ত বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)।

পার্বত্য শান্তিচুক্তির পঞ্চদশ বর্ষপূর্তি সামনে রেখে শুক্রবার রাজধানীর সুন্দরবন হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।

শন্তুলারমা বলেন, এই চুক্তি গত চার বছরে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বর্তমান সরকারের বাকি মেয়াদেও বাস্তবায়ন হবে না।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের চার বছর অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরও এই সরকার চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোনো ‘উল্লেখযোগ্য বা কার্যকর’ পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

সন্তুলারমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি তথা পার্বত্য অঞ্চলের অধিবাসীরা মনে করেন যে, এই সরকার অবশিষ্ট মেয়াদের মধ্যে এই চুক্তি বাস্তবায়নেও দ্বিধাগ্রস্ত।

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সঙ্গে জনসংহতি সমিতির এই শান্তিচুক্তি হয়।

১৫ বছর আগে হওয়া এই চুক্তির বেশিরভাগ শর্তের বাস্তবায়ন না হওয়ায় পাহাড়ের পরিস্থিতি আবারো চুক্তি আগের মতো ‘অশান্ত’ হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সন্তু লারমা বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্বক্ষেত্রে এখনো সেনা কর্তৃত্ব ও ঔপনিবেশিক কায়দায় সাম্প্রদায়িক শোষণ, নিপীড়ন অব্যাহত রয়েছে।”

এছাড়া চুক্তি অনুযায়ী পাবর্ত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদগুলোর ক্ষমতায়ন না করে ‘অথর্ব’ করে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ তার।

জনসংহতি সমিতির সভাপতি বলেন, “তিন পার্বত্য জেলা পরিষদকে পরিণত করা হয়েছে দুর্নীতির আখড়া এবং ক্ষমতাসীন দলের সংকীর্ণ স্বার্থ সংরক্ষণের হাতিয়ার হিসেবে। উপরন্তু পার্বত্য জেলা পরিষদের দায়িত্ব ও ক্ষমতা চুক্তিবিরোধী বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।”

তাই চুক্তি বাস্তবায়নে ‘রাজনৈতিক সদিচ্ছা’ ও ‘কার্যকর উদ্যোগ’ নিয়ে সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

আর তা না হলে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠবে বলেও সতর্ক করেন পাহাড়িদের অধিকার আন্দোলনের এই নেতা।

সংবিধানে একটি নতুন তফসিল সংযোজনের মাধ্যমে ৫৪টির বেশি ভিন্ন ভাষাভাষী গোষ্ঠীর নামের তালিকা যোগ করে তাদের ‘আদিবাসী’ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতির দেয়ার দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে গণঐক্যের আহ্বায়ক পঙ্কজ ভট্টাচার্য, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেণ, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শক্তিপদ ত্রিপুরা প্রমুখ।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!