আজ || রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম :
  গোপালপুরে মাদরাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে গণশুনানি       ভূঞাপুর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটি       গোপালপুরে ১৮ বছর পর স্বনামে ফিরলো আব্দুস সালাম পিন্টু কলেজ       গোপালপুরে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত       ক্ষেতের আইল দিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে ভোগান্তিতে শিশু শিক্ষার্থীরা       গোপালপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠন       গোপালপুরে জামায়াতে ইসলামীর পৌর শাখার কর্মী সম্মেলন       ইমনরা স্বাধীনতা এনে দিয়েছে: টাঙ্গাইল জেলা জামায়াত আমীর        গোপালপুরে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন       ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগকে এদেশের মানুষ মাথা তুলে দাড়াতে দিবেনা : সালাউদ্দীন আহমেদ    
 


বিনিয়োগে আরো সচেতন হতে হবে

দেশের পুঁজিবাজারে ভয়াবহ কারসাজির নেপথ্যে বিভিন্ন স্বার্থান্বেসী মহলের নাম উঠে আসলেও বিনিয়োগকারীদের অজ্ঞতাকেও অন্যতম কারণ বলে মনে করা হয়। কারণ, অধিকাংশ বিনিয়োগকারী যাচাই বাছাই না করে অন্যের দেখে শেয়ার ক্রয় করেন। তারা যদি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সচেতনতার পরিচয় দেন এবং শেয়ারব্যবসা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জ্ঞান রাখেন তাহলে প্রতারণার হাত থেকে অনেকাংশে রক্ষা পাবেন বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, দেশের বিনিয়োগকারীরা অন্যের সিদ্ধান্তের প্রতি আসক্ত। তারা শেয়ার ক্রয়ের আগে সঠিকভাবে যাচাই বাছাই করেন না। বাজারে উত্থান দেখলে বিনিয়োগে আসেন, পতন দেখলে শেয়ার ছেড়ে দেন। তারা সম্পূর্ণরূপে অন্যের উপর নির্ভর করে। কিন্তু পুঁজিবাজার অত্যন্ত সংবেদনশীল জায়গা। তাই এখানে বিনিয়োগের আগে বাজার সর্ম্পকে জ্ঞান অর্জন জরুরি। তাহলে কেউ প্রতারণা করতে চাইলেও পারবে না বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, দেশের বিনিয়োগকারীরা বাজারের সঙ্গে সম্পূর্ণ বিপরীত। বাজারের নিয়ম দাম বাড়লে বিক্রয় আর কমলে ক্রয় করা; কিন্তু বিনিয়োগকারীরা তার উল্টা করেন। যেটা বাজারের জন্য ইতিবাচক নয়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রেসিডেন্ট রকিবুর রহমানও মির্জ্জা আজিজুল ইসলামের সঙ্গে একমত। তিনি বলেন, যখন শেয়ার দর কমে তখন শেয়ার ক্রয় করা আর যখন বাড়ে তখন বিক্রয় করা উচিত। কিন্তু দেশের বিনিয়োগকারীরা দাম বাড়লে ক্রয়ে ও কমলে বিক্রয়ে হুমরি খেয়ে পড়েন। যার কারণে বাজারে হঠাৎ করে পতনের সৃষ্টি হয়।
তিনি বিশ্ব ধনকুবের ওয়ারেন বাফেটের উদাহরণ টেনে বলেন, শেয়ার দর কমে গেলে সব শেয়ার ক্রয় করে নিতেন আর বাড়লে বিক্রয় করে দিতেন। যা থেকে প্রচুর পরিমান অর্থ উপার্জন করে আজকে তিনি এই অবস্থায় এসেছেন।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ রশীদ লালী বলেন, একটি পুঁজিবাজারের জন্য ডে ট্রেডারের চেয়ে একজন প্রকৃত বিনিয়োগকারী গুরুত্বপূর্ণ। বিনিয়োগকারীরা যদি নিয়মমাফিক বিনিয়োগ করেন তাহলে ক্ষতির কবলে পড়তে হয় না। কখনো শেয়ার দর পড়ে গেলেও কোম্পানির প্রদত্ত লভ্যাংশ, রাইট শেয়ার ও বোনাস শেয়ারের মাধ্যমে তা পূরণ হয়ে যায়। কিন্তু দেশে ডে ট্রেডার বেশি হওয়ার কারণে তারা ক্ষতির মুখে পড়েন।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!