বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিল জাতিসংঘ।
বৃহস্পতিবার (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্বীকৃতি মেলে। ১৯৩ সদস্য বিশিষ্ট এই বিশ্ব সংস্থার ১৩৮টি রাষ্ট্র ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির পক্ষে ভোট দেয়।
নয়টি রাষ্ট্র বিপক্ষে ভোট দেয় এবং ৪১টি রাষ্ট্র ভোটদানে বিরত থাকে।
ফলাফল ঘোষণার পরপরই সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিদের পেছনে ফিলিস্তিনি পতাকা ওড়ানো হয়।
ভোটগ্রহনের সময় ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের রামাল্লায় পীনপতন নীরবতা নেমে আসে। ফলাফল ঘোষণার পর ফিলিস্তিনিরা বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠেন। এ সময় তারা আল্লাহু আকবর ধ্বনিত আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করে তোলেন।
এখন জাতিসংঘের নন-মেম্বার স্টেট এর মর্যাদা পাবে ফিলিস্তিন। এটা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি পৃথিবীর বৃহত্তম বিশ্বসংস্থার পরোক্ষ স্বীকৃতি। পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজা উপত্যকা নিয়ে গঠিত ফিলিস্তিন এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার সদস্য হতে পারবে।
ফিলিস্তিনের এই বিজয়কে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক পরাজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ দুটো দেশ ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির ঘোর বিরোধীতা করেছে।
ফলাফল ঘোষণার পরপরই জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুসান রাইস বলেছেন, ‘আজকের দুর্ভাগ্যজনক ও উতপাদন-বিরোধী এই প্রস্তাব শান্তির পথে আরো বাধার সৃষ্টি করেছে। কাজেই যুক্তরাষ্ট্র এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল ছাড়াও কানাডা, চেক প্রজাতন্ত্র, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, মাইক্রোনেশিয়া, নাউরু, পালাউ ও পানামা ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ভোট দেয়।
ভোট গ্রহনের পর জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, ‘আমার অবস্থান সবসময়ই ছিল সংগতিপূর্ণ। আমি বিশ্বাস করি ফিলিস্তিনিদের একটি নিজস্ব রাষ্ট্রের আইনসংগত অধিকার আছে। ইসরাইলেরও আছে প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে বসবাস করার অধিকার।’
দীর্ঘ ৬৫ বছরের ইসরাইলি নিয়ন্ত্রণ থেকে এখন পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে ফিলিস্তিন। ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিন ভেঙ্গে ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইল প্রতিষ্ঠা করা হয়।
সূত্র : আল জাজিরা ও এপি
সম্পাদক : অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন | নির্বাহী সম্পাদক : কে এম মিঠু
প্রকাশক কার্যালয় : বেবি ল্যান্ড, বাজার রোড গোপালপুর, টাঙ্গাইল -১৯৯০, বাংলাদেশ।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত - ২০১৯-২০২৩