পুঁজিবাজারের উন্নয়নের শর্তে আড়াই হাজার কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। আজ বুধবার ম্যানিলায় এডিবির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বোর্ড মিটিংয়ে শর্তপূরণ সাপেক্ষে উল্লিখিত ঋণ অনুমোদন দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও সেকেন্ড ক্যাপিটেল মার্কেট ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (সিএমডিপি-২) দায়িত্বপ্রাপ্ত সাইফুর রহমান জানান, শর্ত পূরণ হওয়ায় এডিবির বোর্ড মিটিংয়ে সরকারের বাজেটারি ফান্ডের অংশ হিসেবে আড়াই হাজার কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন দেয়া হয়। জানা যায়, সরকার বাজেটের অংশ হিসেবে এডিবির কাছে আড়াই হাজার কোটি টাকা ঋণ চাইলে এডিবি এ প্র্রোগ্রামের আওতায় ঋণ দিতে সম্মতি জানায়।
এ কর্মসূচীর আওতায় ২৮টি শর্ত পূরণ করতে হবে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ১৩টি শর্ত পূরণ হলে ১৫০ মিলিয়ন ডলার বা ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা এবং দ্বিতীয় ধাপে ১৮টি শর্ত পূরণ সাপেক্ষে বাকি অর্থ ছাড় করা হবে। কর্মসূচি অনুযায়ী এসইসি এরই মধ্যে প্রথম ধাপের প্রায় সবকটি শর্ত পূরণ করেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এডিবির বোর্ড মিটিংয়ে ঋণ অনুমোদন দেয়া হয়।
পুঁজিবাজার উন্নয়নের জন্য এডিবি দুই পর্যায়ে এ ঋণ দেবে। তবে এ ঋণের প্রধান শর্ত শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরানো। এজন্য যেসব পদক্ষেপ নিতে হবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বাজার স্থিতিশীলতার জন্য সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) বাজার নিয়ন্ত্রণ, পর্যবেক্ষণ ও আর্থিক সক্ষমতা বাড়ানো; বাজারের স্বচ্ছতা বৃদ্ধির জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ, আর্থিক নিরীক্ষণের মান উন্নয়ন, আইনি কাঠামো শক্তিশালী করা, তালিকাভুক্ত কোম্পানির সুশাসন উন্নতি করা এবং স্টক এক্সচেঞ্জ ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশন করা; সরবরাহ বাড়াতে শেয়ার ও বন্ড ছাড়া এবং চাহিদা বাড়াতে বন্ড মার্কেট সৃষ্টি করা।
এছাড়াও ব্যাংক ও আর্থিক বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইন্স্যুরেন্স নিয়ন্ত্রক সংশ্লিষ্ট শর্ত রয়েছে। প্রথমার্ধের ঋণ ছাড়ের ক্ষেত্রে ব্যাংক সংশ্লিষ্ট শর্তে রয়েছে, ব্যাংকের ঝুঁকি কমাতে বিনিয়োগ মূলধনের ২৫ ভাগ হতে হবে যা বর্তমানে মোট দায়ের ১০ ভাগ রয়েছে। এ শর্ত বাস্তবায়নে কোম্পানি আইন সংশোধন করতে হবে।
প্রসঙ্গত, শর্ত পূরণের নির্ধারিত সময় শেষ হলেও এখন পযন্ত এটি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে ইন্স্যুরেন্স আইন সংশোধনের বেশ কিছু বিধি ও প্রবিধি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলেও তা এখনো পাশ হয়নি।