অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, চলতি ২০১২-১৩ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে যা ব্যয় হয়েছে তার চেয়ে সরকারের আয় বেশি হয়েছে।
গত মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে চলতি ২১১২-১৩ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বাজেট বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও আয়-ব্যয়ের গতিধারা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে সরকারের মোট রাজস্ব আয় হয়েছে ৩৪ হাজার ৩১০ কোটি টাকা । আর মোট ব্যয় করেছে ২৭ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা।”
সুতরাং এই তিন মাসে উদ্বৃত্তের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪৪ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্যহারে বাড়ায় বাজেট উদ্বৃত্ত পরিলক্ষিত হচ্ছে। ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক উৎস হতে প্রাপ্ত ঋণ ও অনুদান গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে।”
“অন্যদিকে ব্যাংক বহির্ভূত উৎস হতে (জাতীয় সঞ্চয়পত্র) প্রাপ্তি আশানুরুপ না হলেও সামনের দিনগুলোতে এর বিক্রি বাড়াতে এর প্রচারনামুলক কর্মকাণ্ড জোরদার করার উপর আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। পাশাপাশি ব্যাংক উৎস হতে ঋণ গ্রহণ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে সীমিত রাখতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।”
রাজস্ব আহরণ সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় এক লাখ ৩৯ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা। জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে আদায় হয়েছে ৩৪ হাজার ৩১০ কোটি টাকা। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৯ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি, বাজেটের লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ২৪ শতাংশ। আগামী মাসগুলোতে রাজস্ব আদায় আরও বাড়বে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
সরকারের ব্যয় সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাজেটে মোট এক লাখ ৯১ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। এরমধ্যে প্রথম প্রান্তিকে ব্যয় হয়েছে ২৭ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা। সার্বিকভাবে জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে মোট ব্যয় ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে।
বাজেট ঘাটতি পরিস্থিতি প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, “চলতি অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি ধরা হয় ৫২ হাজার ৬৮ কোটি টাকা। যা জিডিপি’র ৫ শতাংশ। এই ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক উৎস হতে জিডিপি’র ১ দশমিক ৮ শতাংশ এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে জিডিপি’র ৩ দশমিক ২ শতাংশ সংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়।
“চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্যহারে বাড়ায় বাজেট উদ্বৃত্ত পরিলক্ষিত হচ্ছে। ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক উৎস হতে প্রাপ্ত ঋণ ও অনুদান গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে।”