অর্থ পাচারের দুটি মামলায় দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ডেসটিনি গ্রুপের ৩৫টি প্রতিষ্ঠানের ক্রোকের (বাজেয়াপ্ত) এবং এর চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও তার স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার সকালে দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক তৌফিকুল ইসলামের আবেদনক্রমে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জহুরুল হক এ নির্দেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল মিডিয়াকে জানান, ডেসটিনি গ্রুপের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় দায়ের করা দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গত ২১ নভেম্বর কোম্পানি ও তিন আসামির সম্পত্তি জব্দের আবেদন করেন।
ওই আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক ডেসটিনি গ্রুপ এবং এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন ও তার স্ত্রী ফারাহ দীবার সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দেন।
প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের পর পাচারের অভিযোগে গত ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসটিনির ২২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দুটি দুদক দায়ের করে করে।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেশন (এমএলএম) ও ট্রি-প্লান্টেশেন প্রকল্পের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা অর্থ পাচারের ‘প্রমাণ’ পেয়ে দুদকের উপপরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা দুটি করেন।
এর আগে গত ২ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে দুদকের উপ-পরিচালক মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক তৌফিকুল ইসলামের আবেদনক্রমে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো অপারেটিভ সোসাইটি, ডেসটিনি ট্রি প্ল্যানটেশন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ৫৩৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন একই আদালত।
উল্লেখ্য, সোনালী, অগ্রণী, জনতা, উত্তরা, এবি, ন্যাশনাল, সিটি, ইসলামী, সোসাল ইসলামী, ইউসিবিএল, ইস্টার্ন, এনসিসি, প্রাইম, সাউথ ইস্ট, ঢাকা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট, ডাচবাংলা, স্ট্যান্ডার্ড, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, ওয়ান, কমার্স, যমুনা, প্রিমিয়ার, এশিয়া, ট্রাস্ট, শাহজালাল, ব্র্যাক, আল আরাফা ইসলামী, এইচএসবিসি ও পূবালী ব্যাংকে ডেসটিনির ৫৩৩টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে।